প্রকাশ :
অবশেষে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
এর আগে, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে ইসরায়েলি জিম্মিদের তালিকা দেওয়ার কথা ছিল হামাসের।
পরে হামাস ‘প্রযুক্তিগত কারণে’ তালিকা পাঠাতে বিলম্ব করে। যার কারণ দেখিয়ে ফের গাজায় হামলা শুরুর নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরে তিন ঘণ্টা পর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যস্থতাকারী কাতার বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারী এ তথ্য জানান।
যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দেয়ার আগে, এই চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির জন্য বন্দিদের নামের তালিকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রথম ধাপে যে তিন নারী মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তাদের পরিবারকে এ বিষয়ে অবহিত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আক্রমণের পর থেকে এই সংঘাতের শুরু হয়েছিল।
হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
এর প্রতিশোধ নিতে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েল। সেখানে মানবিক সংকট এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলাকালে ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার একটি বড় অংশ নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ, তথা ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।